
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ঘোষণার চেয়ে অধিক পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে পণ্য খালাসে তিন কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয় এ স্থলবন্দরে।
বৃহস্পতিবার দিনভর তামাবিল স্থলবন্দরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব বিষয়ে অধিকতর তদম্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে অভিযোগ পায়নি তারা। পাশাপাশি পণ্য পরিবহণে অতিরিক্ত ওজন থাকলে কাস্টমস নিয়মিত মামলা দায়ের করছে বলে দাবি তাদের।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের চার সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানকালে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার জানান, তামাবিল স্থলবন্দরে লোড আনলোডের তথ্য জাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, ৫ টনের ট্রাকে আসছে ১০ থেকে ১২ টন পণ্য। প্রতি ট্রাকে ৫ থেকে ৬ টন পণ্য বেশি আসছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫শ ট্রাক আসছে। সে হিসেবে দিনে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর মাসে হারাচ্ছে ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।
তিনি আরও জানান, তামাবিলে হুসনে আরা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোড-আনলোডের কোনো কাজ না করেই গত অর্থ বছরে (২৩-২৪) প্রায় দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযানে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অধিকতর তদম্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। পাশাপাশি পণ্য পরিবহণে অতিরিক্ত ওজন থাকলে কাস্টমস নিয়মিত মামলা দায়ের করছে বলে দাবি তার।