বিকেল ৫ টায় শুরু হওয়া নৌকা বাইচ উপস্থিত দর্শকের করতালি ও মাঝি-মাল্লাদের বিভিন্ন রকম শ্লোগানের মাধ্যমে প্রতিযোগিরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শেষ করে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতার ফাইনালে গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়ন দল বিজয়ী হয়।
প্রতিযোগিতা শেষে বৃহত্তর জাফলং ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাহমিলুর রহমান।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুবাস দাস, কোম্পানীগঞ্জের সমাজ সেবা অফিসার আবু সাঈদ, লেঙ্গুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন শিকদার, পূর্ব জাফলং আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান প্রমুখ।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা একাধিক তরুণ-তরুণীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, কালের আবর্তে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা প্রায় বিলুপ্তির পথে। বর্তমান প্রজন্মকে এই খেলায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ বছরের ন্যায় প্রতি বছরই মানুষের ভিন্নধর্মী আনন্দদায়ক এই নৌকা বাইচ আয়োজন করতে আয়োজক কমিটিকে অনুরোধ জানান তারা। পাশাপাশি ঢোলের তালে তালে বৈঠা মারা। হেইয়ো হেইয়ো আওয়াজ করে পানিতে ঝোপাত ঝোপাত শব্দ তুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্যগুলো ছিল অসাধারণ। এক কথায় নৌকা বাইচ দেখে মুগ্ধ এসব তরুণ-তরুণীরা।
আয়োজক কমিটির সভাপতি আনোয়ার আহমেদ বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্যই আমরা এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আগামী বছরগুলোতে আরও বৃহৎ আকারে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো বলে আমরা আশাবাদী।