
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হচ্ছে। ২০০৮ সালে ছবিসমৃদ্ধ ভোটার তালিকা করার সময় আইন করে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্বও দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সভায় সোমবার এনআইডির যে আইন ছিল এটাকে সংশোধন করে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন-২০২৩ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সচিব বলেন, রাষ্ট্র যখন এ দায়িত্বটা অন্য কাউকে সম্পাদন করতে বলবে, তখন অন্যরা সম্পাদন করবে। এখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে চলছে এবং চলবে বলে তিনি জানান।
সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে বলা আছে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে যখন ছবিসমৃদ্ধ ভোটার তালিকা হয়েছে। এর উপজাত হিসেবে প্রায় আট কোটি তিন লাখ ভোটারের তথ্যসমৃদ্ধ ভোটার তালিকা থেকে আইন করে এনআইডি দেওয়া শুরু হয়। এ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আইনটি কমিশন সচিবালয় এখনো দেখেনি। মন্ত্রিপরিষদ সভায় সোমবার এনআইডির যে আইন ছিল এটাকে সংশোধন করে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন-২০২৩ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এটা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদে যাবে। সংসদে উঠার পর আইন আকারে পাশ হবে। তারপর বলা যাবে আসলে কী হয়েছে।
সচিব বলেন, এখন দুই ধরনের আইন হয়। একটাতে বলা থাকে অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর গেজেট প্রজ্ঞাপন থেকেই কার্যকর হয়। কিছু কিছু আইন থাকে যেখানে বলা হয়- এই আইন গেজেট প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে বলবৎ হবে। সেক্ষেত্রে কী আছে আইনে সেটা যেহেতু জানা নেই, আইনটি কিভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলতে পারবে।