
জাকির হোসেন:গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ছিলো গোয়াইনঘাটের জনজীবন। দফায় দফায় বন্যায় জেলার মধ্যে মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিল গোয়াইনঘাট উপজেলায়। দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে বন্যার্তদের মাঝে এগিয়ে আসেন অনেক মানুষ।
এবারও টানা চারদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। বৃষ্টি আরও ১৫দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ধারণা করা হচ্ছিল গতবারের মত এ বছর তেমন বন্যার মুখ দেখতে হবে না। তবে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গত বছরের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় আবারও বন্যার শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। এতে নিম্মাঞ্চলের মানুষের মাঝে নতুন করে আবারও বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ডাউকি, সারী ও পিয়াইন নদীর পানি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এখনো নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারী-গোয়াইনঘাট ও রাধানগর-গোয়াইনঘাট এবং সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে, পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে মানুষের জান মাল যাতে রক্ষা পায় সেই লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৬টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে, এখনও মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠার খবর পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার সকাল থেকে উপজেলার প্রধান সড়কের বেশ কিছু স্থানে পানি উঠেছে। এতে সারী-গোয়াইন, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের অধিকাংশ স্থানে পানি উঠায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। দিনভর বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত পানি ক্রমশ বেড়েছে।
বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো মুষলধারে। এতে বৃষ্টির পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা জলে পরিনত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে থাকে। সারী, গোয়াইন, ডাউকী ও পিয়াইন নদে পানি হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। উপজেলা সদরের প্রধান তিনটি সড়কসহ তলিয়ে যায় গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টিপাত হলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান জানান, উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নে পানি উঠতে শুরু করেছে। এখনো বন্যায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। নিম্মাঞ্চলের মানুষদের আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়াও মানুষের জানমাল রক্ষায় উপজেলায় ৫৬টি বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।