
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাটঃ সিলেটের কৃতি সন্তান বিশ্বখ্যাত চিকিৎসক ও বিএনপির ( ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও শিরনী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে সিলেট মহা নগরীর হযরত শাহজালাল (রঃ)এর মাজার মসজিদে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও শিরনী বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ডা.জোবায়দা রহমান কেবল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ কিংবা নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান শহীদ রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যাই নন, এর বাইরেও তিনি আপন মহিমায় ভাস্বর, আপন বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। ডা. জোবায়দা রহমান নিজ মেধা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বের ৫৫টি দেশের মধ্যে সেরা চিকিৎসকের স্বীকৃতি পেয়েছেন। শিক্ষা জীবনে ডা. জোবায়দা রহমান কখনো দ্বিতীয় হন নি, না দেশে না বিদেশে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে ডিস্টিংশনসহ সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন তিনি। জোবায়দা ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। চার বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজিতে (এমএসসি ইন কার্ডিওলজি) ডিস্টিংশনসহ শতকরা ৮৩ ভাগ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন জোবায়দা। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউই), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ, নাইজেরিয়া, চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা এই কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন। এ কোর্সে প্রথম হয়েছিলেন ডা. জোবায়দা রহমান। তিনি ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে গিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। দেশি- বিদেশী নানা লোভনীয় প্রস্তাব, স্কলারশিপ ও উজ্জ্বল ক্যারিয়ার এর হাতছানিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি মানব সেবাকেই মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উন্নীত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামান্য চাকরিই বেছে নেন তিনি। এখনো তার ধ্যান জ্ঞান আর স্বপ্ন কীভাবে দেশের চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে একেএম তারেক কালাম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, গোলাম রব্বানী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনূর আহমদ , শাকিল মোর্শেদ,সাফেক মাহবুব , মুকুল মুর্শেদ , এড. আল আসলাম মুমিন, মুফতি নেহাল আহমদ, আলী আকবর, সায়েদুল হক সুহেল, জালাল খান, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী,লুৎফুর রহমান মোহন,মঞ্জুরুল হাসান মনজু,মিজান আহমদ, রফিক আহমদ,ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ,সৈয়দ রহিম আলী রাসু, আব্দুল মালেক, শাহীন আলম জয়, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, রায়হান এইচ খাঁন, জাহেদ আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, আবদুল লতিফ খান, সুহেল ইবনে রাজা, টিটন মল্লিক,সাইদুল এনাম লাহিন লিটন, এস এম পলাশ,সাইদুল হক সেফুল,আব্দুল হাদি,ফখরুল ইসলাম,হাসান হাফিজুর রহমান টিপু,মিজান আহমেদ, আলমগীর হোসনে,আব্দুল মজিদ, তোফায়েল আহমদ, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, নানু মিয়া , রওশন খাঁন, ফজলু আহমদ,রিফল আহমেদ,রাসেল আহমেদ,জুয়েল আহমেদ,রায়হান আহমেদ প্রমুখ।