
প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার এক স্কুলছাত্রীর (১৩) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন কিবরিয়া আহমদ (২০) নামের এক যুবক। প্রায় এক বছর ধরে চলা এই সম্পর্কের একপর্যায়ে ১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ওই যুবক স্কুলছাত্রীকে তার বসতবাড়ির হারার মুখে ডেকে আনে। এসময় প্রেমালাপের একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীকে (১৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের লোকজন টের পেলে ওই যুবক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্কুলছাত্রী তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালে তারা ওই দিন রাত ৩টায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
ধর্ষিতা কিশোরী (১৩) গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নের বানিগ্রাম গ্রামের মো. ইমাম উদ্দিনের মেয়ে ও হাজি মদরিছ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্রীর পিতা মো. ইমাম উদ্দিন ধর্ষণের অভিযোগে থানায় কিবরিয়াকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নং-২৭৭২ দায়ের করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি কিবরিয়া আহমদ গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের লামা লংপুর (নয়াবাড়ি) গ্রামের লোকমান আহমদের ছেলে। মামলা দায়েরের পর থেকে লাপাত্তা রয়েছে কিবরিয়া।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় তার পিতা বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ মামলা হিসেবে তা নথিভুক্ত করে। মামলার এজাহার নামীয় আসামি একজন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।