ঢাকাশনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম
  4. কবিতা
  5. খেলাধুলা
  6. গোয়াইনঘাট
  7. জাতীয়
  8. জৈন্তাপুর
  9. প্রচ্ছদ
  10. প্রবাস
  11. প্রযুক্তি
  12. বাংলাদেশ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফ স্টাইল
   
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অন্যকে ফাঁসাতে গোয়াইনঘাটের মাসুম দাম্মাম থেকে আত্মগোপনে জেদ্দায়, অতএবপর উদ্ধার!

এম এ মতিন ! সহযোগী সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ১১:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাটঃ

পিতার বুদ্ধিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের রাশিদ আলী ও তাঁর ছেলে রমযান আলীকে
ফাঁসাতে সৌদি আরবের দাম্মাম শহর থেকে আত্মগোপনে চলেযান তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের সফাত উল্লাহ’র ছেলে মাসুম আহমদ। আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গোয়াইনঘাট থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের রাশিদ আলীর স্ত্রী ও সৌদি আরব প্রবাসী রমযান আলীর মা মায়ারুন নেছা। গোয়াইনঘাট থানায় দায়ের করা মায়ারুন নেছার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আড়াই লাখ টাকা মূল্যে নির্ধারণ করে তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের রাশিদ আলীর ছেলে রমযান আলীর নিকট থেকে ফ্রি-ভিসায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান একই গ্রামের সফাত উল্লাহর ছেলে মাসুম আহমদ (২৫)। মাসুম আহমদ সৌদি আরবে অবস্থান করে প্রায় ৮/৯ মাস সুন্দর ভাবে চাকুরী করে নিজের খরচ মিটিয়ে বাড়ীতে টাকা পয়সা পাঠিয়ে ছিলেন নিয়মিত। কিন্তু রমযান আলীর বাবা রাশিদ আলীর সাথে মাসুমের পিতা সফাত উল্লাহর জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার ঝেরে রমযান ও তার পিতা রাশিদ আলীকে হয়রানির উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের নির্ধারিত স্থান দাম্মাম শহর থেকে থেকে মাসুম পালিয়ে যায় জেদ্দা শহরে । অপর দিকে মাসুমের পিতা সফাত উল্লাহ অতি সুকৌশলে সৌদি আরবে রমযান কতৃক তার ছেলে মাসুম নিখোঁজ হয়েছে দাবি করে মাননীয় মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের আলোকে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম নজরুলকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম নজরুল গত ৩ সেপ্টেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় মানব পাচার অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন।মামলা নং ৪ তারিখ ০৩/০৯/২০২৩ইং। এই মামলাটি গোয়াইনঘাট থানায় রুজু হওয়ার পর আসামি পক্ষ ভয়ে আত্মগোপনে যায় এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহীন আহমদের পরামর্শে মামলার ভিকটিম তোয়াকুল ইউনিয়নে পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের সফাত উল্লাহর ছেলে মাসুম আহমদকে সৌদি আরবের জেদ্দা শহর থেকে রমযানের বন্ধুবান্ধব উদ্ধার করেন। এসময় ভিডিও কলে উদ্ধার হওয়া মাসুমের সাথে কথা বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহীন। তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের রাশিদ আলীও সৌদি আরব প্রবাসী তার ছেলে রমযান আলী এবং তাঁদের অপরাপর সদস্যদের হয়রানি ও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করে রমযান আলীর মা বাদী হয়ে মাসুম আহমদের পিতা সফাত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল বলেন, সৌদি আরবে
গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) গ্রামের মৃত হারিছ মিয়ার ছেলে সফাত উল্লাহর ছেলে মাসুম আহমদ নিখোঁজ রয়েছেন দাবী করে সিলেট মাননীয় মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ দায়ের করেন।
বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়াইনঘাট থানায় ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মানব পাচার অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা রুজু হয়।মামলা নং ৪ তারিখ ০৩/০৯/২০২৩ইং। অপর দিকে উক্ত মামলার ভিকটিম মাসুম আহমদের সন্ধান পেয়েছে বলে বিবাদী পক্ষ আমাকে অবগত করেন।
এ বিষয় তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল(লক্ষীনগর) গ্রামের রাশিদ আলীর স্ত্রী ও সৌদি প্রবাসী রমযানের মা ময়ারুন নেছা বাদী হয়ে এবং মাসুমের পিতা সফাত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।