
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে মধ্য জাফলং ইউনিয়ন বাসীসহ দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মধ্য জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ।
সকলের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে এক শুভেচ্ছা বার্তায় ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা আর ভালোবাসার মহিমান্বিত বার্তা নিয়েই বছর ঘুরে ত্যাগের মহিমায় উদ্বেলিত হয়ে আবার ফিরে এলো ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির পবিত্র মাহেন্দ্রক্ষণ পবিত্র ঈদ উল আযহা (“কুরবানীর ঈদ”)। এই দিনে কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আত্মত্যাগ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিকতার শিক্ষা তুলে ধরা হয়। কোরবানির মাধ্যমে শুধু পশু নয়, হিংসা, অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা থেকেও মুক্ত হই।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরও বলেন, “ঈদ-উল-আযহার মূল বার্তা হলো ত্যাগ। এই ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে মানবিকতা, সহমর্মিতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমরা যেন সবাই মিলে একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। সর্বোপরি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ইসলামী মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদ আনন্দে সকলের সাথে মিলেমিশে সুখ ও দু:খের ভাগি হবো এবং ঈদের উৎসব আমেজ কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সুন্দর সমাজ এবং দেশ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন- ঈদ উল আযহা আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে এক হতে শেখায়। অভাবী এবং দুস্থ ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার প্রেরণা দেয়।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরো বলেন-হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গ তথা ত্যাগের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা মুসলিম জাহানের কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।
ঈদের দিন নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানী দিয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতেও সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।